ডি-আয়রন


পশু খাদ্য সম্পরক

উপাদানঃ
প্রতি মিলিতে আছে,
ফেরাস সালফেট ০.৫ মি গ্রা
কপার সালফেট ০.২ মি গ্রা
জিঙ্ক সালফেট ০.২ মি গ্রা
কোবাল্ট সালফেট ০.১ মি গ্রা
ভিটামিন বি১২ ০.১ মি গুা

ব্যবহার:
ডেইরি:
১. বিভিন্ন টেুস মিনারেলের (আয়রন,কপার,জিঙ্ক,কোবাল্ট) ঘাটতি জনিত সমস্যায়।
২. বøাড সেল কোয়ালিটিকে বাড়িয়ে দিয়ে অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে।
৩. লোম উঠে যাওয়া ও পশমের বিবর্নতা প্রতিরোধে।
৪. প্রেগনেন্সির সময় এ্যানিমিয়া দূর করতে।
৫. দুধ উৎপাদন ও ইমিউনিটি বৃদ্ধি করতে।

পোল্টিু:
১. দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও গ্রোথ বাড়াতে।
২. অ্যানিমিয়া ও ডার্মাটাইটিস প্রতিরোধে।
৩. ইমিউনিটি বৃদ্ধি করে ডিম উৎপাদন ও হ্যাচাবিলিটি ঠিক রাখতে।

মাত্রা ও প্রয়োগ:
বড় গরু: ৫০-১০০ মিলি করে খাওয়াতে হবে ৫-৭ দিন।
বাছুর/ছাগল/ভেড়া: ২০-৩০ মিলি করে খাওয়াতে হবে ৫-৭ দিন।
পোল্টিু: ১মিলি /১লিটার পানিতে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে ৩-৫ দিন।

সংরইন:
আলো থেকে দূরে, ঠান্ডা ও শুষ্ক স্থানে সংরøণ করতে হবে।

সরবরাহ:
৫০০ মিলি প্লাস্টিক বোতল

ডি-আয়রন এর গুরুত্বপূর্ণ কার্যাবলী:
১. ফেরাস সালফেট খুবই গুরুত্বপূর্ণ মিনারেল যা শরীরে রেড বøাড সেল তৈরী করে, শরীরকে সুস্থ রাখে। আয়রন, হিমোগেøাবিন ও মায়োগেøাবিনের অংশ। হিমোগেøাবিন বøাড থেকে অক্সিজেন বহন করে শরীরের বিভিন্ন অংশে পৌছে দেয়। মায়োগেøাবিন মাংসে অক্সিজেন সংরøন করে। আয়রনের অভাবে এ্যানিমিয়া হয়। আয়রন রক্তের অন্যতম উপাদান যা হেমোগেøাবিনের সাথে যুক্ত হয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন সরবরাহ করে ফুসফুস এবং টিস্যু থেকে। এছাড়া রেসপিরেশন ও এনার্জি
মেটাবলিজমে সহায়তা করে কোলাজেন সিনথেসিস ও নিউরোটুান্সমিটারের জন্যে।


২. প্রেগনেন্সির সময় এ্যানিমিয়া: এ্যানিমিয়া হলে বøাড সেল প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারেনা। আর গর্ভাবস্থায় গাভীর সদ্যোজাত বাছুরের জন্যে প্রচুর রক্ত সরবরাহের প্রয়োজন হয়। শরীরে যদি আয়রন না থাকে তাহলে সুস্থ ও স্বাভাবিক বøাড
সেল তৈরী হতে পারে না এবং হিমোগেøাবিনের পরিমানও কমে যায়। স্বাভাবিক বøাড সেল ফুসফুস থেকে পুরো শরীরে বিশুদ্ধ রক্ত পরিবহন করে। আয়রনের অভাবে স্বাভাবিক রক্ত প্রবাহে বিঘœ ঘটে এবং এ্যানিমিয়ার কারনে এবরশন ও স্টিল বার্থ হতে পারে। পারনিসিয়াস এ্যানিমিয়া দেখা দিলে দুধের উৎপাদন ও প্রোডাকশন øমতাও কমে যায়।
৩. কপার টেুস মিনারেলের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও গ্রোথ এর জন্যে কপারের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। কপারের অভাবে ফার্টিলিটি, ইমিউনিটি ও হেয়ার পিগমেন্টেশন কমে যায় ।
৪. কোবাল্ট ও ভিটামিন বি১২ এর সংমিশ্রন পুাণীর অ্যানিমিয়া দূরীকরণে সহায়তা করে। তাছাড়া কোবাল্টের অভাবে ”ফ্লাগারিস
স্ট্যাগারস” দেখা দেয় যার ফলে মাংসপেশীতে কম্পন, অসামঞ্জস্যপূর্ণ চলাফেরা এবং রেপিড ব্রিথিং দেখা দেয়। অনেক
সময় ফুসফুসে ইনফেকশনও দেখা দেয়।